শত-সহস্র শব্দ, একগুচ্ছ কবিতা, আর তাতে আল্পনার মতো লেপ্টে থাকা অজস্র আবেগের মলাটবদ্ধ রূপ— শ্বেত দাবানল। শ্বেত দাবানলের কবিতারা কখনও ভীষণ বিক্ষুব্ধ বিদ্রোহের মশাল নিয়ে ছুটে যায়, কখনও জেহাদের জঙ্গবিধ্বস্ত ময়দানে লুটোপুটি খায়, কখনও নদী-গিরি-মরু দাপিয়ে এসে ক্লান্ত দেহ নিয়ে প্রেয়সীর নিস্তরঙ্গ কোলে থিতু হয়, আর কখনও বা মুষড়ে পড়ে বিষাদের বেরহম বিষণ্ণতায়।
জীবন এক বিচিত্র রঙ্গমঞ্চ। নদীর ঢেউয়ের মতো কখনও উত্থান, কখনও পতন; কখনও উত্তাল, কখনও শান্ত। আছে যুদ্ধ, আছে পরাজয়, কি-বা বিজয়ের বুনো উল্লাস; আছে প্রেম, কিছু মোহ, আছে বিচ্ছেদ আর বিভেদের বিরহ। জীবন মানেই ছুটতে থাকা, ছুটতে ছুটতে যতখানি পদচ্ছাপ ফেলে রাখা যায়, যতটা গল্প গেঁথে রাখা যায়; তাই অস্তিত্ব। আর এই অস্তিত্বের আস্তাবলে চড়েই হাসিকান্নার বন্যাবিধৌত জীবনকে সামনে এগিয়ে নেওয়া। গতিময় জীবনের এই সব বিচিত্র দিক প্রতিফলিত হয়েছে শ্বেত দাবানলের কবিতাগুলোয়। কাব্যগ্রন্থটি দ্রোহ, প্রেম, বিষাদের এক উচ্চমার্গীয় সংমিশ্রণ। বাংলা সাহিত্যে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে ‘শ্বেত দাবানল’